Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীতে নারী আছে জানতেন না বাস্তবের টারজান! 

বাস্তবের টারজান খ্যাত হু ভ্যান ল্যাং-এর কথা জানেন না এমন মানুষ খুব কম আছে। যিনি দীর্ঘ ৪১ বছর কাটিয়েছেন জঙ্গলে। ১৯৭২ সালে ভিয়েতনামের যুদ্ধের সময় তার বাবা তাকে ও তার আর এক ভাইকে নিয়ে জঙ্গলে চলে যান। তখন থেকেই শুরু হয় তার জঙ্গলে বসবাস। তার পৃথিবীতে ছিল কেবল বাবা, ভাই আর জঙ্গলের গাছপালা এবং পশুপাখি। 

দীর্ঘ সময় ধরে তারা ছিলেন মানব সভ্যতার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাই স্বভাবতই পৃথিবীর অনেক জিনিসের অস্তিত্ব সম্পর্কেই ধারণা ছিল না তার। যেমন, পৃথিবীতে নারীর অস্তিত্ব সম্পর্কেও কোন ধারণা ছিলোনা ল্যাং এর। এমনকি তিনি নিজে যে পুরুষ এবং তার বিপরীত একটি লিঙ্গ রয়েছে এসব কিছুই জানতেন না তিনি। 

খুব ছোটবেলায়ই মানবসভ্যতার বাইরে চলে যাওয়ায় মানবজীবনের অনেক চাহিদাই তৈরি হয়নি তার মধ্যে। তাদের পুরো পরিবারকে ৪১ বছর পর ২০১৩ সালে উদ্ধার করে মানবসভ্যতায় ফিরিয়ে আনা হলেও এই পরিবেশে মানিয়ে নিতে বেশ অনেকটাই সময় লেগেছে। এবং দীর্ঘদিন পরে একের পর এক সামনে এসেছে তাদের বিভিন্ন গল্প। 

২০১৫ সালে একজন চিত্রগ্রাহকের মাধ্যমে প্রথম এ ঘটনা সকলের সামনে আসে। ১৯৭২ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়  ল্যাং-এর মা ও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এরপর দুই সন্তানকে নিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যান তার বাবা। এরপর শুরু হয় মানবসভ্যতার বাইরে তাদের জীবনযাপন। খাবার বলতে সে জানতো বন্যপ্রাণীদের শিকার করে খাওয়া। বনে থাকা অবস্থায় মানবসভ্যতার বিষয়ে বাবা একটিও কথা বলেননি তাকে। 

আর এ কারণেই পৃথিবীর অনেক কিছুই তার কাছে বিস্ময়। এমনকি তাদেরকে যখন প্রথমবার জঙ্গল থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হল তখন জঙ্গল ছেড়েও আসতে চাননি তারা। তবে ৪১ বছরের দীর্ঘ অভ্যস্ততা দূর করাও ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ধীরে ধীরে মানবসভ্যতার সাথে অভ্যস্ত হওয়া শুরু করেছে বাস্তবের টারজান খ্যাত ল্যাং ও তার পরিবার৷

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ