Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গভ্যাক্স: দুই নারীর বিস্ময় গাঁথা 

করোনা টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ আবিষ্কারক দলনেতা কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানা।এই ভ্যাক্সিনটি MRNA টেকনোলজিতে তৈরি করা। বিশ্বের অনেক টিকাই একাধিক ডোজের। কিন্তু এটি একক ডোজের হওয়ায় একবার নিলেই যথেষ্ট।

 

এটি এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের এথিকস কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা-অনুমোদন সম্পন্ন করে অতিদ্রুত এই ভ্যাকসিন জনগণের জন্য প্রয়োগের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে বলে সকলের দৃঢ় বিশ্বাস’।

পৃথিবীতে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছে এবং উপমহাদেশে আমরা দ্বিতীয় দেশ যারা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছি। এ কারণে বৈজ্ঞানিক কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানাকে সকল স্তরের মানুষ আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে এবং এই বৈজ্ঞানিক যারা দু’জনই  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ রসায়নের। তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের গর্ব’।

 

ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। ভ্যাকসিন আসবে না এই অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করে সময় মতো ভ্যাকসিন এসেছে, সব জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এই ভ্যাকসিন কেউ নেবে না -এই গুজব মিথ্যা প্রমাণ করে ভ্যাকসিন নেবার জন্য জনগণের যে বিপুল উৎসাহ দেখা গেছে। তাতে মনে হয় এই ভ্যাকসিন অপপ্রচারকারীদের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটছে। আমরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, কবে বঙ্গভ্যাক্স আসবে এবং আমরা তখন অন্য দেশকেও এই ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা করতে পারবো। ভ্যাক্সিনটির বানর অথবা শিম্পাঞ্জির উপর ট্রায়াল হলেই প্রথম ফেস ট্রায়ালে যেতে পারবে।

বৈজ্ঞানিক কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানা তাদের বক্তব্যে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণাগারকে আন্তর্জাতিক মানের বলে বর্ণনা করেন এবং মুজিববর্ষের মধ্যেই বঙ্গভ্যাক্স জনগণের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।  

 

একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে বাংলাদেশের এই অর্জন অসাধারণ। মানুষ কখনো আশা করেনি দেশে ভ্যাক্সিন উৎপাদন হতে পারে। তাদের সকলের এই চিন্তা ভাবনাকে গুড়িয়ে দিলো বিস্ময় দুই নারী।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ