Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারো স্পেস স্টেশনে চীনের তিনজন

দিনে দিনে বিভিন্ন মহাকাশ-ভিত্তিক সংস্থা তাদের কর্মীদেরকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা বিষদ আকারে একটি প্রভাব বিস্তার করছে । নতুন মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মহাকাশে অভিযান চালিয়েছে চীন। শেনঝু-১২ নামে চীনা মহাকাশযানটি তিন নভোচারীকে নিয়ে সফলভাবে যাত্রা করেছে।

ঐতিহাসিক এই অভিযানে অংশ নেয়া তিন নভোচারী হলেন নিয়ে হাইশেং (৫৬), লিউ বোমিং (৫৪) ও তাং হংবো (৪৫)। তারা পৃথিবী থেকে ৩৮০ কিলোমিটার ওপরে তিয়ানহে মডিউলে তিন মাস অবস্থান করবেন। বাসের চেয়ে সামান্য বড় আকারের তিয়ানহে মডিউলে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও কারিগরি দিকসহ জীবন-রক্ষাকারী ব্যবস্থাগুলো পরীক্ষা করে দেখবেন নভোচারীরা।

 

মহাকাশে অবস্থান করায় নভোচারীদের শারীরিক ও মানসিক কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হয় এবং তারা কীভাবে সেখানে থাকবেন সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে। স্পেস স্টেশনে একটি আসন্ন অভিযানে নভোচারীরা ছয় মাস সময় পার করবেন বলে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চীনের নভোচারী হিসেবে মহাকাশে এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের যাত্রা। নভোচারীরা স্পেস স্টেশনের নির্মাণ এগিয়ে নিতে কাজ করবেন।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু করে শেনঝু-১২ নামের মহাকাশযানটি। মহাকাশে চীনের স্পেস স্টেশন নির্মাণে যে ১১টি অভিযান পরিচালিত হওয়ার কথা তার মধ্যে এটি তৃতীয়। ১১টির মোট চারটিতে নভোচারী পাঠানোর কথা। স্টেশনটির নির্মাণ শুরু হয়েছে গত এপ্রিলে সবচেয়ে বড় মডিউল তিয়ানহে উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে। এরপর আরও দুটি মডিউল যুক্ত করা হবে।  

 

কত শত মহাকাশযান যাচ্ছে স্পেস স্টেশন। ভিন্ন ভিন্ন তাদের যাত্রার উদ্দেশ্য । যাত্রা গুলোর ফলাফল আসছে তাদের কাজের অনুযায়ী। তবে শেনজু ১২ তার কাঙ্ক্ষিত  ফলাফল নিয়ে আসতে পারবে কিনা তা এখনো অধরা হলেও চীনের আগের রকেট বিপর্যয়ের পরে তাদের মহাকাশ অভিযানে উক্ত পরিভ্রমণটি একটি নতুন দৃষ্টিকোণ সৃষ্টি করেছে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ