‘ভ্যাক্সিন লুমিনারি’ হয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন তাসনিম জারা
'ভ্যাক্সিন লুমিনারি' হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশের মেয়ে তাসনিম জারা। বাংলাদেশ ঢাকা মেডিকেল থেকে এমবিবিএস শেষ করে জারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। এবং ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে কাজ করছেন।
করোনাকালীন সময়ে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসাব কাজ করে যাচ্ছেন। সারা বিশ্বে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে, মানুষ ভুল ঠিক মিলেমিশে নানা তথ্যে আরো আতঙ্কিত হয়ে উঠছিলো, তাসনিম জারা তখন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসহ করোনার তথ্য ভিডিওর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেন।
ঝরঝরে বাংলা ভাষায় তৈরি এসব ভিডিও মানুষ বেশ গ্রহণ করতে শুরু করে। মানুষের মাঝে আতঙ্কের বদলে সচেতনতা তৈরি করতে তাসনিমের সচেতনতা মূলক ভিডিও গুলো দারুণ কাজ করে। শুধু যে করোনা তথ্য তা নয়, মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কথা বলে চলছেন এই তরুণী। বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের জন্য তার ভিডিওতে মানুষের নির্ভরতাও বাড়ে। রবি টেন মিনিট স্কুলেও প্রচার হয় এসব ভিডিও। ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা বাড়াতেও কাজ করেছেন তাসনিম।
এসব সচেতনতা মূলক কাজের জন্যই গত বুধবার (স্থানীয় সময় ২ জুন) জি-৭ গ্লোবাল ভ্যাকসিন কনফিডেন্স সামিটে তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জি-৭ প্রেসিডেন্সিতে ব্রিটিশ সরকার প্রথমবারের মতো এ ধরনের ইভেন্ট আহ্বান করে। আর সেখানে ভ্যাক্সিন নিতে উৎসাহ ও ভ্যাক্সিনে আস্থা তৈরি করতে যেসব সম্মুখ সরির যোদ্ধারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার কাজ সহ সেবামূলক কাজ করে তাদের একত্রিত করে 'ফটো মোজাইক' প্রকাশ করেন।
নিজের কাজের মাধ্যমে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে নিজের দেশ ও জাতিকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত গর্বিত করলেন তাসনিম।
হাসপাতালে কাজে সুবাদে অনেক অভিজ্ঞতাও হয় তাঁর। মুমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া থেকে শুরু করে নিজের কাছের মানুষদের আক্রান্ত হওয়ার খবর, নানারকম কঠিন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন। এসবের মধ্যে ভালোলাগার বিষয় অনেক মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছেন বলে জানান।
সমস্ত কাজ শেষে নিজের স্বামী খালেদ সাইফুল্লাহ, ছোট বোন এশায়া বিনতে হাসান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের তাসনিমের দুই অনুজ ইমা ইসলাম ও সায়মুল রেজার সহায়তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভিডিও তৈরি করতেন। এসব ভিডিও মানুষ সাদরে গ্রহণও করেছেন। তাসনিমের এমন কাজ ও তাঁর প্রাপ্তি ভবিষ্যতেও অনেককে সচেতন যেমন করবে তেমনি এসব কাজে এগিয়ে আসতেও উৎসাহ দেবে।