Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে গুগল এবং আমাজনের আগমন

আপনাদেরকে যদি এই মুহূর্তে প্রশ্ন করা হয় অনলাইন পণ্য বিক্রি করায় শীর্ষ স্থানীয় কারা? অবশ্যই নির্দ্বিধায় বলবেন আমাজন এবং গুগল। সম্প্রতি আমাজন এবং গুগল বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য চুক্তি করছে। আসুন শুরু থেকে জানার চেষ্টা করি।

বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট গুগল ও আমাজন এখন বাংলাদেশের নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান। গত ২৩ মে গুগল এবং ২৭ মে আমাজন  ভ্যাট নিবন্ধন পেয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসায় নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) নিয়েছে, যা ভ্যাট নিবন্ধন হিসেবে পরিচিত। এখন থেকে এ দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করবে। অবশ্য এতদিনও প্রতিষ্ঠান দুটি ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করত। বাংলাদেশ থেকে যে ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের টাকা পরিশোধ হত, সেই ব্যাংকই ভ্যাট কেটে রেখে সরকারি কোষাগারে জমা দিত।

কোম্পানি গুলো এতদিনে দেশে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিলো। এতে তাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছিলো। কিছু টেক বিশ্লেষকদের মতে,"তাদের এভাবে যুক্ত হওয়ায় দেশের শুল্ক খাতে যেভাবে অর্থ আসবে তেমনি এর প্রসারের ফলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে"।

জানা গেছে, গুগল এশিয়া প্যাসিফিক পিটিই লিমিটেড নামে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে। ব্যবসার ধরন হিসেবে বলা হয়েছে সেবা। আর সিঙ্গাপুরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যামাজন নিবন্ধিত হয়েছে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস ইনকরপোরেশন নামে। এই প্রতিষ্ঠান সেবাধর্মী ব্যবসা করবে বলে জানিয়েছে। অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ঠিকানা ব্যবহার করেছে।

আমাজনের মুল উদ্দেশ্য তাদের এই ব্যবসাটা তারা সুবিস্তারিত করবে। কোম্পানির অধিক শেয়ার সংরক্ষক (জেফ বেজোস) মতে,"ঘনবসতি পুরনো রাষ্ট্র গুলোই তাদের ব্যবসা করার জন্য অন্যতম মাঠ”।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, শুধু গুগল, আমাজন নয়; শিগগিরই ফেসবুক ও নেটফ্লেক্সও ভ্যাট নিবন্ধন নিতে যাচ্ছে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ