আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ
২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয়।জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সকল নারী-পুরুষের শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারী মনোভাব বজায় রাখা,কর্তব্যপরায়ণতা,নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের আত্মত্যাগকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
ইউক্রেনের শান্তিরক্ষী সংস্থা এবং ইউক্রেন সরকারের যৌথ প্রস্তাবনায় ১১ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত ৫৭/১২৯ প্রস্তাব অনুযায়ী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইলী যুদ্ধকালীন যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো) যা প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী সেই দিনকে উপজীব্য করে ২৯ মে তারিখটি স্থির করা হয়েছে। ২০০৩ সালের ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস প্রথম উদযাপন করা হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও জাতিসংঘের মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে অভিনন্দন বার্তা প্রদান এবং তাদের কাজের প্রয়োজনীয়তা ও উপযোগিতার কথা তুলে ধরে থাকেন। দিবসকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'ড্যাগ হ্যামার সোল্ড' পদক বিতরণ করা হয়। বিশ্বের সর্বত্র আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করা হয়। প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব শান্তিরক্ষীদের বহিঃর্বিশ্বে শান্তিরক্ষায় ভূমিকা স্মরণ করে সম্মানিত করেন। এভাবেই বহিঃর্বিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী একটি দেশ।১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীও এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১২ সালের মে মাস পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ১০টি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৯,১৮৭ জন এবং পুলিশ বাহিনীর ২,০৯৩ জন সদস্য নিয়োজিত আছেন। এছাড়া কর্মরত অবস্থায় বা নিরীহ মানুষকে রক্ষার্থে এখন পর্যন্ত ১০৫ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী আত্মোৎসর্গ করেছেন এবং পেশাদারী দায়িত্ব পালন করার সময়ে ১১৬ জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় এবং সম্মানপূর্বক আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয়।