Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাল্যবিবাহের এক ভয়ংকর সমাপ্তি!  

বাল্যবিবাহ নামের একটি অভিশাপ আমাদের সমাজে বেশ আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে আছে। সমাজ যতই সামনের দিকে এগোচ্ছে, নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে কিন্তু কোনোভাবেই নির্মূল করা যাচ্ছেনা বাল্যবিবাহ নামক এই অভিশাপকে। আর এর থেকেই দিনের পর দিন জন্ম নিচ্ছে ভয়ংকর অপরাধ এবং অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু প্রাণ। 

সম্প্রতি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিষহরা গ্রামে ঘটে এক তোলপাড় করা ঘটনা।  মাত্র ১৪ বছর বয়সের এক মেয়ে ।  পারিবারিক ভাবেই  বিয়ে হয় ২৮ বছর বয়সী এক ছেলের সাথে।  কিন্তু বিয়ের ২৭ দিনের মধ্যেই শীর্ণকায় দেহের মেয়েটি, সুঠাম দেহের ছেলেটিকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায় পুলিশের কাছে এবং আদালতে স্বীকার করে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, নিহত হারুনুর রশিদ ওই গ্রামের বয়জুল মণ্ডলের ছেলে। আর মেয়েটি একই উপজেলার ভীমনগর পালশা গ্রামের এর মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত মেয়েটি। গত ১৯ মার্চ হারুনের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। বয়স কম বলে হারুনের গ্রামে ওই কিশোরীর খালার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় একজন কাজী বিয়ে পড়ান।

মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুর রহমান বলেন, অনেকটা জোর করেই তার বিয়ে দেয়া হয়েছিল নববধূর। বিয়ের পর স্বামীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। গত মঙ্গলবার রাতেও স্বামী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। তখন মেয়েটি জানায়, তার শারীরিক সমস্যার কথা। তখন স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন হারুন। পরে গৃহবধূ কৌশলে স্বামীর দুই হাত বেঁধে ফেলে। এরপর পাটের রশি গলায় পেঁচিয়ে ধরে। আর এতেই দ্রুত তার স্বামীর মৃত্যু হয়।

স্বামীর হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বাল্যবিবাহের শিকার ওই নববধূ। মূলত বাল্যবিবাহ নামের অভিশাপের কারণেই ঝরে গেলো একটি প্রাণ এবং মাত্র ১৪ বছরের এক কিশোরী সম্পৃক্ত হল ভয়ংকর এক অপরাধের সাথে। আর অচিরেই নিভে গেলো সম্ভাবনাময় এক কিশোরীর জীবন।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ