ভিটামিন ডি-এর অভাবে হতে পারে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শরীরের নানা ধরনের উপাদান প্রয়োজন। নানা ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন আর ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন ডি ভিটামিন ডি এর জন্য অন্ততপক্ষে কোন অর্থ খরচ করতে হয় না। ভিটামিন ডিকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘জাদুর ওষুধ’ বলা হয়। একমাত্র এই একটা ভিটামিন যেটা কিনা আমরা প্রকৃতি থেকে আমাদের শরীরে গ্রহণ করতে পারি।
কিন্তু যদি এই ভিটামিন-ডি এরই ঘাটতে দেখা যায় শরীরে তাহলে হতে পারে নানা ধরনের শারীরিক এবং মানসিক জটিলতা। বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সম্মুখীন হতে হয় এই ভিটামিন গুলোর অভাব দিলে।
পর্যাপ্ত ভিটামিন এর প্রয়োজনীয়তা
শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি থাকলে দাঁত ও হাড় মজবুত থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি শরীরে থাকলে ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের নিয়ন্ত্রণ মাত্রা ঠিক থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মানসিক সুস্থতা পাওয়া যায়। শরীর বেশ চাঙ্গা থাকে যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি প্রতিদিন শরীরে প্রবেশ করে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে শারীরিক ও মানসিক জটিলতা
প্রথমে মানসিক জটিলতার কথা বলা যাক নানান বিজ্ঞানী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে শীত প্রধান দেশগুলোতে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি প্রায় ৯৫% মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। তারা ভিটামিন ডি এর জন্য সাধারণত নানা রকমের সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকে। প্রকৃতি থেকে সরাসরি ভিটামিন-ডি তাদের শরীরে গ্রহণ করার উপায় কম। সেই ক্ষেত্রে আরো দেখা গিয়েছে সেই সব দেশের মানুষজনের মধ্যে হতাশা, আতঙ্ক অনেক বেশি বিরাজ করে এবং তাদের মন মানসিকতা বেশ খিটখিটে হয়ে যায়। অনেক সময় এরকমও দেখা গিয়েছে ভিটামিন ডি এর অভাবে মানুষের জীবনে এত পরিমাণ অবসাদ আসে যে তারা অনেক সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এবার প্রসঙ্গ শারীরিক জটিলতা। শারীরিক অনেক ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে এর মধ্যে হার ক্ষয় হতে থাকা প্রথম এবং প্রধান উৎস। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক সময় ক্যান্সারেরও ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়া এবং শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হওয়া ভিটামিন ডি এর অভাবের হতে পারে। দাঁতের মাড়িতে সমস্যা হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে। শরীরে যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকে তাহলে খুব ক্লান্ত অনুভূত হয় এবং অতিরিক্ত ঘুম পায়। এর কারণ যখন সূর্য ডুবে যায় এবং তখন আমাদের শরীরের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়।
শরীরে ভিটামিন ডি এর ব্যালেন্সের জন্য যা করণীয়
অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট টাইমে ঘুম থেকে উঠতে হবে বেশি বেলা পর্যন্ত ঘুমানো যাবে না। এছাড়া দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টার রোদে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। তাই ঠিক সেই সময় রোদে কিছুক্ষণ হাঁটা প্রয়োজন অন্ততপক্ষে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট এই সময়ের মধ্যে হাটাহাটি করা প্রয়োজন।
প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত কিছু খাবার রাখার চেষ্টা করুন। যেমন- তৈলাক্ত মাছ দুগ্ধ জাতীয় খাবার, দই, পনির ও সবুজ শাকসবজি।
এছাড়াও অতিরিক্ত কোন শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে ভিটামিন ডি এর জন্য সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসকের দেওয়া সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।