Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের রোজা

ডায়াবেটিসে ভুগলে রোজা রাখাটা বেশ সমস্যার। ডাক্তাররাও সচরাচর ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখতে নিষেধ করেন। মূলত স্বাস্থ্যগত সমস্যা এড়াতেই এমন সাজেশন দিয়ে থাকেন। তাই বলে কি ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখবেনই না? এমনটা না। মূলত ডিহাইড্রেশন আর সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে রোজা রাখতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখুন বা না রাখুন, রমজানে একটি নির্দিষ্ট ডায়েট রুটিন মেনে চলতে হয়। নাহলে লো ব্লাড সুগার বেশ বড়সড় ক্ষতি করতে পারে। তাই রোজা রাখলেও খুব সতর্ক থাকতে হবে খাবারের বিষয়ে। শুধু খাবারই না – নিজের অভ্যাসেও কিছু রদবদল আনতে হবে। সেসব নিয়েই আজকে আমাদের আলোচনা।

নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন

ডায়াবেটিস রোগীদের হাইড্রেশনের সাথে সাথে ব্লাড সুগার লেভেলের দিকেও মনোযোগ রাখতে হয়। তাই সেহরি কিংবা ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতেই হবে। শুধু পানি খেলেই হবে না। ডাবের পানি অথবা লেবুর পানি খেলে উপকার পাওয়া যাবে। ইফতার থেকে সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে অন্তত সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করুন।

অতিরিক্ত খাওয়া বাদ দিন

রমজানে অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। এমনটা উচিত না। ইফতারে সচরাচর ভাজাপোড়া না খেয়ে ফল, দই, চিড়া খাওয়ার অভ্যাস করুন। এমনকি ইফতারেও কম করে খান। এতে রাতের খাবার এবং সেহরি খাওয়ার মতোও যথেষ্ট ক্ষুধা লাগবে।

সেহরি বাদ দিবেন না

সেহরিতে রুটি এবং ফাইবারজাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে সেহরি কখনই বাদ দিবেন না। সেহরি শেষে খেজুর আর পানি খেলে সারাদিন হাইড্রেটেড থাকবেন। সেহরি এড়িয়ে গেলে সারাদিনে প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগা কিংবা সুগার লেভেল কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আপনি যদি ইনসুলিন নিয়ে থাকেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ইনসুলিনের ডোসেজ জেনে নিবেন।

শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ দিবেন না

রমজানে অন্তত শরীরের উপর ভয়ংকর চাপ সৃষ্টি করে এমন ব্যায়াম করবেন না। এমনকি পরিশ্রমের ক্ষেত্রেও কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে।

সুগার ফ্রি খাবার খান

ইফতার কিংবা সেহরিতে চিনিজাতীয় খাবার খাবেন না। খেজুর বা ফল দিয়েই মিষ্টির চাহিদা মেটাবেন। এমনকি তেলেভাজা খাবারও বাদ। যতই লোভনীয় হোক, বেক বা গ্রিল করা খাবার খাবেন।

পাতলা জামা পরুন

এই গরমে অতিরিক্ত ঘামার হাত থেকে বাঁচতে পাতলা জামা পরুন। অতিরিক্ত ঘাম হলে ডিহাইড্রেটেড দ্রুত হবেন। তাই যথাসম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।

গ্লুকোজ লেভেল পরিমাপ করুন

রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। আগেই বলেছি, রমজানে খাদ্যাভ্যাস অন্যান্য মাস থেকে ভিন্ন। তাই নিয়মিত গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করলে সহজেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

অনন্যা/এসএএস

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ