মেনোপজের সময়টা উপভোগ করতে শিখুন
৪০-৪৫ বছর বয়সে যখন একজন নারী মেনোপজের সময় অতিক্রম করেন।মেনোপজ হচ্ছে, একটি নারীদেহের অনেক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মূলত ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যাবার কারণেই মেনোপজ হয়। যে সময় নারীর মাসিক আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবার সময় হয় সে সময়কেই মেনোপজের সময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসময় নারীরা শারীরিক জটিলতায় তো ভোগেনই। সঙ্গে মানসিক অশান্তিতে ভোগার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। তাই মেনোপজের সময়টা উপভোগ করতে শেখা উচিত।
মেনোপজ নিয়ে বেশিরভাগ নারী অসচেতন থাকেন বলে হুট করে উপসর্গ দেখা দিলে নিজেরা খেই হারিয়ে ফেলেন। নিজেকে নিয়ে সচেতন থাকলে, নিজের প্রতি যত্নবান হলে এই সমস্যা স্বাভাবিকভাবে মোকাবেলা করা যায়। বেশিরভাগ নারী সংসার, সন্তান, পারিবারিক দায়িত্ব এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজের দিকে তাকানোর খুব একটা সময় পান না। এসব কারণেই মেনোপজের সময় তারা অনেক বেশি ভেঙ্গে পড়েন।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রথমেই নিজেকে ভালোবাসতে হবে। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য আলাদা করে কিছুটা সময় রাখতে হবে, নিজের যত্ন করতে হবে। নিজের সমস্যা বুঝে মেনোপজের সময় দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বাগান করা, লেখালেখি করা, সূচিকর্ম করা, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া, নিজের কোন অপূর্ণ শখ পূরন করা ইত্যাদি কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে মানসিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠা অনেকাংশেই সম্ভব।
যেহেতু মেনোপজ একটি প্রাকৃতিক পরিবর্তন তাই শরীর ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়। সাধারণত তিন থেকে চারবছরের মাঝে শরীর মেনোপজ পরবর্তী অবস্থার সাথে অভ্যস্থ হয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘসময় পরেও যদি শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যা দূর না হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক।
যেসকল নারীরা এখন মেনোপজের সময় অতিক্রম করছে তাঁরা এখন কারো মা , কারো স্ত্রী।কাজেই পরিবারের মানুষ দের উচিত মেনোপজের সময় তাঁর মা এবং স্ত্রীকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করা। এতে মেনোপজের সময় পার করা নারীটি মানসিক অসহায়ত্বে ভুগবেন না। হাসিখুশি থেকে নিজের স্বাস্থ্য সচেতন হবেন এবং অন্যদেরও হাসিখুশি রাখবেন।