কিশোরীর ত্বকের যত্নে
ছোট থেকে বড় সবাই শরীরে একটু দাগ দেখলেই চিৎকার করে উঠে। কিন্তু ছোটদের ত্বক সেনসিটিভ হওয়ায় তাদের রাখতে হয় অনেক সাবধানে। কিন্তু সেই একই সঙ্গে কিশোরীদের ত্বকও অনেক সেনসিটিভ হয়। কারণ তারা একটা নির্দিষ্ট সময় পার করে ঘরের বাইরে। সারাদিন তাদের থাকতে হয় স্কুল, টিউশন কিংবা খেলার মাঠে। এতে করে তাদের ত্বক হয়ে উঠে রুক্ষ। এই রুক্ষ ত্বকের জন্য তাদের চাই বিশেষ যত্ন।
বিশেষ যত্ন বলতে যে অনেক বেশি সময় ত্বকের যত্ন ব্যয় করতে হবে এমনটা না। তবে টুকটাক কিছু কাজের মাধ্যমেও ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতে পারেন। আর কিশোরীদের পারিবারিক সাপোর্ট অনেক বেশি প্রয়োজন। কারণ কিশোরী বয়সে সন্তানদের নানা চড়াই-উতরাই পার করতে হয়। এছাড়া কিশোরী বয়সে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উত্তম সময়। কারণ ত্বকের ধরণটা এসময়ই বেশি ভালো বুঝে উঠা যায়। টুকটাক ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং কোন ত্বকের জন্য কোন জিনিস টা ব্যবহার করতে হবে তা বুঝে উঠার সময়ই হলো কিশোরী বয়স। তাই এই সময় ত্বকের যত্ন নিলে তা সামনের দিনের জন্য বেশ উপকারী হয়ে উঠবে।
কিশোর-কিশোরীদের ত্বক ও চুলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে করণীয়-
ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসেই মুখ, হাত, পা কুসুম গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বক শুষ্ক করে দেয় এমন কোনো সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না। তবে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আঙুরের রস, শসার রস ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে।
মুখ ধোয়ার পর ভেজা ভাব থাকতেই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ত্বকে যদি ব্রণের সমস্যা খুব বেশি থাকে, তাহলে ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এই বয়সে হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাক হেডসের সমস্যাও অনেকের বেড়ে যায়। বাজারের স্ক্রাবের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করলেই ভালো।
চালের গুঁড়া, দুধ বা টক দই, পেস্তা বাদাম, মসুর ডাল অল্প পরিমাণে নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ব্ল্যাক হেডস ও ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে। নিম পাতা, তুলসী পাতা এবং অ্যালোভেরা সমপরিমাণে মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে ব্রণের সমস্যা দূর হবে, ত্বক হবে মসৃণ।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যেমন ত্বক পরিবর্তন হয় ঠিক তেমনই ঋতুর সঙ্গেও ত্বকে পরিবর্তন আসে। কখনও ত্বক রুক্ষ হয় তো কখনও তৈলাক্ত। তাই ত্বকের ধরণ অনুসারে ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে ত্বকের যত্নের দিকে নজর দিতে দিতে ত্বকের ক্ষতি হয় এমন কিছু ব্যবহার করা থেকে কিশোরীদের দূরে রাখতে হবে। ত্বকের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই করতে হবে।