Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেমন হবে এবারের ঈদ

মুসলমান ধর্মপ্রিয় মানুষের অন্যতম প্রধান উৎসব হল ঈদুল ফিতর। পবিত্র রমজানে এক মাস সিয়াম সাধনার পরেই আসে ঈদুল ফিতর।  তবে ইতোমধ্যে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিচ্ছে বেশ ভয়ংকর ভাবে। তাই স্বভাবতই  প্রশ্ন উঠছে, কেমন হবে এবারের ঈদ? 

 

করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে দেশে ঈদ উদযাপনে ভিন্ন রকম আবহ তৈরি হয়েছে। ঈদকে ঘিরে বাঙালির উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় মাসখানেক আগে থেকেই। প্রস্তুতি নেয়া হয় এক আনন্দময় ঈদ উদযাপনের। মাসব্যাপী পরিকল্পনা চলে কিভাবে ঈদ উদযাপন করা যায় সে বিষয় নিয়ে। রমজানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে চলে ঈদের পরিকল্পনা।  

 

কিন্তু করোনার কারণে পুরো পৃথিবীর চিত্র এখন বেশ ভিন্ন। ভিন্নতা নেই আমাদের দেশেও। দেশজুড়ে বিরাজ করছে ভয় এবং হাহাকার। সংক্রমণ রোধে  বর্তমানে দেশজুড়ে চলছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এসব বিধিনিষেধ বজায় থাকবে ঈদুল ফিতরকে ঘিরেও। 

 

ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ঈদগাহ মাঠ বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঈদের নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শেষে কারও সঙ্গে কোলাকুলি বা হাত মেলানোতেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা ।

 

ঈদের এই সময়ে অনেকেই পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বিনোদন কেন্দ্র না হলে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় ভীড় করতেন। জনসমাগম রোধ করার লক্ষ্যে ভ্রমণেও  নিষেধাজ্ঞা থাকার দরুন গতবছরের ন্যায় এবারেও পালন করতে হবে গৃহবন্দী ঈদ। 

সাধারণত দুপুরের পর থেকে আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশীর বাড়িতে যাতায়াত, দাওয়াত খাওয়ানো বা অন্যের আমন্ত্রণে যাওয়া বাংলাদেশের বহু প্রচলিত এক রীতি। করোনা আতঙ্কে এবার এ রীতিতেও দেখা যাবে বিস্তর ফারাক।  

তবে এতকিছু ভিন্নতার মধ্যেও থাকবে ভালো কিছু পাওনা। প্রত্যেক বছর বন্ধুবান্ধব, আড্ডা, ঘোরাঘুরি সব মিলিয়ে ঈদের দিনের এসব ব্যস্ততায় পরিবারকে দেয়ার মতো সময় থাকে আমাদের হাতে একদমই কম।  তাই করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে ঘরবন্দী হয়ে পুরোটা সময় পরিবারের সাথে উদযাপন করেও খুঁজে নিতে পারেন আনন্দ।  

 

পৃথিবীর বদলে যাওয়া এ ধূসর রং পরিবর্তন করতে এখন একমাত্র উপায়  ঘরে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এভাবেই সম্ভব ভবিষ্যতে বরাবরের মতো  আবারও সেই উজ্জ্বল, রঙিন ঈদ উৎসব ফিরিয়ে আনা। তাই এই ঈদে নিজে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকার প্রদত্ত বিধিনিষেধ মেনে চলুন এবং ধূসর হয়ে যাওয়া  পৃথিবীকে রঙিন করে তোলার চেষ্টা করুন।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ