#anannya #অনন্যা #ম্যাগাজিন #অনন্যা_ম্যাগাজিন
অনন্য সাহিত্য পুরস্কার ১৪৩০ জয়ী আফরোজা পারভীন এর প্রামাণ্য চিত্র
কথাসাহিত্যিক, গবেষক, নাট্যকার ও কলামিস্ট আফরোজা পারভীন একজন সোজাসাপটা সাহসী লেখক। তিনি তার সহজ-সরল গোছানো লেখার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন। অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা সম্মাননা প্রাপ্ত এই লেখক সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে আফরোজা পারভীনের হাতে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় লেখককে সম্মাননা ক্রেস্ট, শুভেচ্ছা পত্র ও ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। শুরুতে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সাহিত্যিকের লেখা নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, হামীম কামরুল হক ও নাসরীন মুস্তাফা। সভাপতিত্ব করেন অনন্যা ও ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাহিত্যিক ঝর্ণা রহমান।
পুরস্কারের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আফরোজা পারভীন বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে আমার পরিবার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবার। বাবা-মা আমাকে কখনোই মেয়ে হিসেবে আলাদা করেননি। আমার স্বামী আমাকে লেখায় শুধু উৎসাহই দেননি, নিজের সাধ্যমতো লেখার উপকরণ কিনে দিয়েও সহযোগিতা করেছেন। আমার সন্তানরাও সব সময় উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু অনেক নারী আছেন, যাদের প্রতিভা থাকলেও আমার মতো পরিবেশ ও পরিবার পায় না। লেখার খাতা পায় না।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমার জীবন ওলট-পালট করে দেওয়ার মতো ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যপট আমাকে লেখার অনুপ্রেরণা দেয়। চারপাশের প্রত্যেকটি মানুষই একেকটি গল্প শুধু, তার ভেতরের গল্পটাকে জানতে হয়।’
তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অনেক মানুষের অবদান আছে, যা আফরোজা পারভীনের লেখা ও কথায় প্রকাশ পায়। অনন্যা যোগ্য নারীকে সম্মাননা দিতে পেরে সন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একসময় অনন্যা শীর্ষ দশ ও অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রদান শুরু করি, যখন সমাজে নারীকে মূল্যায়ন করা হতো না। আমরা এখন ডিজিটাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। জীবনযাপনের ব্যয় দিন দিন বাড়ছে, নানা কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে সমাজে। তবে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে অনন্যা।’
আন্দালিব রাশদী বলেন, ‘সব ক্ষেত্রের মতো সাহিত্যেও নারী দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছে। আফরোজা পারভীন তার লেখার মধ্য দিয়ে দৃশপট আঁকতে পারেন। এটা তার লেখার বড় দিক। যখন তার লেখা পড়ি তখন মনে হয় দৃশ্য আর চরিত্রগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে।’
হামীম কামরুল হক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা সাধারণ ধারণা, যে লেখকের বেশি বই থাকে, তারা মানসম্পন্ন লেখক নন। কিন্তু আফরোজা পারভীনের প্রকাশিত ১২৫টি গ্রন্থ প্রমাণ করে তিনি ভালো লেখক।’ তিনি বলেন, ‘আফরোজা পারভীন একজন গোছানো ধ্রুপদি লেখক। তার লেখা পড়লেই বোঝা যাবে মুক্তিযুদ্ধ তাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে।’
নাসরীন মুস্তাফা বলেন, ‘তার লেখার মধ্য দিয়ে তাকে আলাদা করা যায়। অনন্যা আফরোজা পারভীনকে অনেক দেরিতে খুঁজে পেয়েছে। এখন বাংলা একাডেমির পালা।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশুশিল্পী ইচ্ছে ‘নারী’ কবিতাটি আবৃত্তি করে এবং সম্মাননাপ্রাপ্ত লেখকের ওপর তাপস কুমার দত্ত নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
Follow us on Social Media:
Facebook:https://www.facebook.com/anannya.magazine
Twitter:https://twitter.com/AnannyaMagazine
Instagram:https://www.instagram.com/anannya_magazine/
Website:https://anannya.com.bd/
Fair Use Disclaimer:
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here fall under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for “fair use” for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
“Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.”
About The Anannya:
‘Ananya’ is one of the fortnightly magazines for women in Bangladesh. It has been published regularly since 1987. Since 1993, Bangladesh’s most talked about women’s magazine fortnightly Ananya has been awarding the ‘Ananya Top Ten Award’ to the top 10 women who are discussed and enlightened in the society in various categories every year. Through this event, every year the magazine gives this award in recognition of special contribution in various fields including agriculture, industry, commerce, economy, acting, music, sports, education, liberation war, social welfare and development-law-law, human rights, entrepreneurship, politics and journalism. Also, ‘Ananya Sahitya Award’ was introduced in Bengali 1401 (1993). The award is given annually to an accomplished woman writer or literary researcher in recognition of her special contribution to literature.