ঈদের দিনে ঘর সাজাক বাড়ির পুরুষও
ঈদের দিনে মেয়েদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দিন , আর পুরুষ ও শিশুদের আনন্দের দিন। নরীরা কি অদ্ভুত এক প্রজাতি তাইনা? যেকোনো উৎসবের দিন তাঁদের উপর থাকে সকল দায় দায়িত্ব। রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা পরিবারের সবার খেইয়াল রাখা। কিন্তু তবুও নারীরা হাসিমুখে থাকে। ঈদের দিনে বাড়ির কর্ত্রী সমস্ত কাজ একা কার পরেও সে আনন্দঘন মন নিয়ে সবার সাথে মিলে মিশে থাকার চেষ্টা করে।
মায়েরা কিভাবে পারে এতকিছু করতে? নিজেরা তো সংসার সামলানো ডুরে থাক। ঘর তাও গুছিয়ে রাখাতে আলসেমি করি। গোতা সংসার সাম্নলানো তো দূরের কথা। ঈদের দিনে নারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দিন।
তবে এখন সময় বদলেছে, ঈদের দিন নারীরা একাই রান্নাঘরে চুপ করে বসে কাজ করবে আর সবাইকে ভোজন করাবে এরকম আর হবে না। বাড়ির প্রতিটি সদস্যেরই উচিত বাড়ির কাজে নারীকে সাহায্য করা। ঈদের দিনে সবার মিলে ঘঢ় সজানো উচিত । কারণ বাড়িটি সবারই।
আর একজন দম্পতি মানে হচ্ছে দুজন মিলে একটি ঘর তৈরি করা। নিজেদের ঘড় নিজেদের মত করে সাজানো। মিলেমিশে সাজানো। কারণ ঘর টা দুজনের। নারী তো আর ঘরের কাজের লোক নয় যে, সে একাই ঘর সামলাবে । আর পরিপাটি করে রাখবে। এরকম আশা আমরা করি একজন কাজের লোকের কাজ থেকে।
কাজের লোককে তো তাও সম্মনি দেয়া হয় ঘর তাকে পরিষ্কার করাঢ় জন্য । কিন্তু নারীকে তো তাও দেয়া হয় না।অতএব, নারীদের প্রতি এমন গৃহকর্মীর মত দৃষ্টিভঙ্গি বন্ধ করতে হবে। পরিবারের ঈদের আনন্দ যেনো সবাই মিলেই ভোগ করতে পারে। কারণ ঈদ সবার । ঈদের আনদও সবার।