নববর্ষে ভোজন বিলাস
পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙালি। পহেলা বৈশাখ এলেই সবকিছুতেই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া লেগে যায়। বৈশাখের এই সাজ থাকবে পোশাকে বা সাজে থেমে থাকবে তা নয়। খাবারের টেবিল থাকবে নববর্ষে ছোঁয়া। তবেই তো উৎসব রুপ নেবে আনন্দে।
নববর্ষে খাবারের টেবিলটিকে নববর্ষে সাজে ফুটিয়ে তুলতে আজকে থাকছে কিছু টিপস।
বাসন-কোসন
পহেলা বৈশাখকে কমবেশি সবাই পান্তা ইলিশ খেয়ে থাকেন। দুপুরের খাবারে বা রাতের খাবারেই হোক না কেন, বাঙালিয়ানা ছোয়া দিতে ব্যাবহার করতে পারেন মাটির তৈরি জিনিসপত্র। আয়োজন যে বৈশাখের জন্য করা হয়েছে সেটা বোঝাাতে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত হলো পরিবেশনে মাটির তৈরি আসবাবপত্রের উপস্থিতি। এছারা টেবিলের আভিজাত্য আরো বাড়াতে চাইলে ব্যাতিক্রম কিছু করা যেতে পারে যেমনঃ কাঁসার বাটি, থালা, গ্লাস ব্যবহার বা এরচেয়েও ভিন্ন কিছু করতে চাইলে বৈশাখের টেবিল সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন জামদানি বা টেরাকোটা প্রিন্টের সিরামিকের প্লেট-গ্লাস।
টেবিলের আনুষঙ্গিক সজ্জা
বৈশাখ মানেই রঙের মেলা, টেবিল সজ্জার আনুষঙ্গের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন হলুদ,ম্যাজেন্টা, লাল, সবুজের মতো উজ্জ্বল রংগুলো। এছাড়াও বেছে নিতে পারেন পাটের তৈরি রানার, টেবিল ম্যাট পাশে রাখতে পারেন হাতে নকশা করা ন্যাপকিন এগুলো টেবিলে একটা গ্রামীন ভাব ফুটিয়ে তুলবে টেবিলে। চেয়ারের কুসনে ফ্লোরাল বা ইক্কত প্রিন্টের কুশন কভারটা আরো রঙিন করে তুলবে। এর পাশাপাশি টেবিলের সজিবতা বাড়াতে একটি ফুলদানি লাখতে পারেন মাঝখানে যেখানে কৃত্রিম ফুল রাখতে পারেন।
ভোজন আয়োজন
বৈশাখী ভোজে পান্তা-ইলিশ আর কয়েক পদের ভর্তা-ভাজা ছাড়া তো সম্পন্নই হয় না। তবে ভিন্নতা কিছু করতে চাইলে ভর্তার পাশাপাশি ইলিশ খিচুড়িও আয়োজনে রাখতে পারেন।
খাবার টেবিলে বৈশাখের সাজ ফুটিয়ে তুলতে গ্রামবাংলার ছোঁয়া দিতে পারেন যেমন, একটি পাটের তৈরি চালুনিতে মন্ডা-মিঠাই, কদমা, বাতাসা মুরলি, নিমকি দিয়ে সাজাতে পারেন। সময় থাকলে ডেসার্টে বাঙালি পিঠা যেমন পিঠাপুলি বা মোয়া আয়োজনে রাখতে পারেন। এছাড়াও ভোজের আয়োজনে স্বাস্থ্যকর কিছু রাখতে চাইলে দই, চিড়া, খই, মুড়ি এবং ফল রাখলে বৈশাখের একটা আমেজ দিবে।