Skip to content

৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস 

আজ ৯ আগস্ট। প্রতি বছর এই দিনটি পুরো বিশ্বে আদিবাসী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য হল আদিবাসীদের জীবনধারা, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার, আদিবাসী জাতিসমূহের ভাষা ও সংস্কৃতি তথা আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকার সম্পর্কে সংখ্যাগরিষ্ঠ অ-আদিবাসী জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করে তোলা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে দিবসটি।

 

বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, যারা বহন করেছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় ও সমাজব্যবস্থা। এই নিজস্ব আচার, প্রথা, ভাষা, ঐতিহ্য বহন করে চলা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীই আদিবাসী বলে পরিচিত। তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং অভিনব জীবনব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানাতে প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়। 

 

পৃথিবীর প্রায় নব্বইটি দেশে ৩৭০ মিলিয়ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী এ দিবসটিকে তাদের নিজেদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি উপস্থাপনের পাশাপাশি তাদের নানান দাবি-দাওয়া নিজ নিজ রাষ্ট্রের সামনে এবং বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন। ঐতিহাসিকভাবে নানান শোষণ, দখলদারিত্ব, নিপীড়ন এবং বঞ্চনার ভেতর দিয়ে জান গোজার করেও এসব আদিবাসী জনগোষ্ঠীই আজকের পৃথিবীটাকে করে তুলেছে বহু-বৈচিত্র্যময় এবং সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের এক সুন্দর আবাসভূমি। অথচ এসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজও পৃথিবীর নানান দেশে দেশে নানান মাত্রায় সামাজিক, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রান্তিকায়নের শিকার।

 

এ বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর অধিকার দেখভাল এবং এ বিশাল ভাষাগোষ্ঠী এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সংরক্ষণের তাগিদ থেকেই ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রতিবছর ৯ আগস্ট বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

 

২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের ঘোষণা হচ্ছে, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত আদিবাসী অধিকারের দশ বছরপূর্তি’ (10th Anniversary of the UN Declaration on the Rights of Indigenous Peoples)। এটা কেবল একটা শিরোনাম বা বাৎসরিক ঘোষণা নয়। জাতিসংঘ ঘোষিত আদিবাসী অধিকারের দশ বছরের একটা মূল্যায়নের চিন্তা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সে চিন্তার ফ্রেইমওয়ার্কে বাংলাদেশের 'আদিবাসীদের' অবস্থান মূল্যায়নের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের সামনে।

 

বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন অনলাইন অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, ওয়েবইনারের আয়োজন করেছে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ