বাংলাদেশের সাদিয়া জিতলেন বর্ষসেরা নারী শিক্ষার্থী প্রকৌশলী পুরস্কার
অমিত সম্ভাবনার অধিকারী নারী শক্তির যথাযথ বিকাশ যখন সম্ভব হয় তখন দমিয়ে রাখা যায় না তাদের দিগ্বিজয়ী শক্তিকে। নারী মানেই যে শুধু গণ্ডির মধ্য থেকে নিজেকে গড়া তা আর নয়। সে তার ইচ্ছে আর দৃঢ় সংকল্পের দ্বারা চাইলে নিজেকে তুলে ধরতে পারে বিশ্ব দুয়ারে। সাফল্যের পতাকা উড়িয়ে সম্মান বয়ে আনতে পারে নিজ দেশের জন্যও। শুধু হাতে গোনা কয়েক ক্ষেত্রে নয়, নারীর বিচরণ আজ প্রকৌশলী ক্ষেত্রেও চোখে পড়ার মতো। সেটি আজ দেখি দিল বাংলাদেশের সাদিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স (আই ই ই ই)। প্রকৌশলী ক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় সংগঠন এটি। মূলত গবেষণা, নেটওয়ার্কিং ও প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করে বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের ১৬০টি দেশের প্রায় ৪ লাখ সদস্য রয়েছে আইআইআইই'র। আর এমন বড় সংগঠন থেকে এবার ‘উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (ডাব্লিউআইই)’-এ বর্ষসেরা শিক্ষার্থী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের সৈয়দা সাদিয়া হোসেইন। প্রকৌশল পেশায় লিঙ্গসমতা আনায় ‘উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর পথচলা শুরু। এ বিভাগে আলাদা করে প্রায় বিশ হাজার সদস্য রয়েছেন।
নিজেদের কাজ ও প্রতিভার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যারা অংশ নেন তারাই মূলত এ পুরস্কার পান। বাংলাদেশে উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ২০টি শাখা রয়েছে। সৈয়দ সাদিয়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস শাখার চেয়ারপারসন হিসেবে কাজ করেছেন।
আই ই ই ই বিউপি শাখার চেয়ারপারসন থাকাকালীন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মোট ১৬টি প্রতিযোগিতা ও কর্মশালার আয়োজন করেছেন সাদিয়া। শিক্ষার্থীদের প্রকৌশলী হতে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাও করেছেন। করোনা আক্রান্ত ও ভুক্তভোগীদের জন্য তহবিল যোগাড় করার মতো সামাজিক কাজেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
বিউপি থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন সাদিয়া। কাজ করছেন একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে। আজকের মহিয়সী ও সফল নারীরাই আগামী দিনের নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে। শুধু প্রয়োজন নারীদেরকে তাদের কাজের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। তাহলেই হয়তো তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে পারে পুরো দেশ ও গোটা বিশ্বে।