বৈশ্বিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা তিন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব
বৈশ্বিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান "অ্যাওয়ারনেস ৩৬০" এর উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন কিংবদন্তি বাস্কেটবল রেফারি বব ডিলানি, রয়্যাল চ্যারিটি ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের প্রধান নির্বাহী টেসি ওজো এবং জনপ্রিয় ব্রিটিশ অভিনেতা কেল স্পেলম্যান। শমী হাসান চৌধুরী ও রিজভী আরেফিন দুই বাংলাদেশীর হাত ধরে গড়ে ওঠা বৈশ্বিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান "অ্যাওয়ারনেস ৩৬০"কে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবার বিশ্বব্যাপী কাজ করতে যাচ্ছেন বিশ্বজূড়ে জনপ্রিয় এই তিন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি এমনটিই জানানো হয়েছে 'অ্যাওয়ারনেস ৩৬০' এর এক বিবৃতিতে। হাত ধোয়া, স্যানিটেশন সচেতনতা, স্বাস্থ্য ভালো রাখাসহ বস্তিতে থাকা যেসব মানুষের কাছে সাধারণত কেউ যেতে চায় না তাদের আচার, ব্যবহার, সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কাজ করা এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন যুক্ত হওয়া উপদেষ্টারা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও কিংবদন্তি বাস্কেটবল রেফারি বব ডিলানি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ টিমের অংশ হওয়া দারুণ ব্যাপার। নেতৃত্ব আমার জন্য একটি সৌভাগ্যের ব্যাপার এবং এর সাথে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা একজন আরেকজন থেকে শিখবো, জানবো। আমি কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি"। অনুপ্রেরণীয় সিভিল সোসাইটির লিডার ও রয়্যাল চ্যারিটি ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের প্রধান নির্বাহী টেসি ওজো উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করে জানান, "আমি অবিশ্বাস্যভাবে খুশি এবং সম্মানিত হয়েছি এই প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হতে পেরে। আমার বিশ্বাস রয়েছে 'অ্যাওয়ারনেস ৩৬০' এর লিডারশীপ টিমের উপর। আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো কাজ করবে। আমি শুধু এই যাত্রার অংশ হতে এসেছি। চলুন একসাথে পরিবর্তন করি"। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ম্যানচেস্টারে জন্মগ্রহণ করা জনপ্রিয় ব্রিটিশ অভিনেতা কেল স্পেলম্যানও। তিনি জানান, "আমি তেমনটি কৃতজ্ঞ যেমনটি আপনারা আমাকে পেয়ে হয়েছেন। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমরা একসাথে কি করতে পারি সেটা দেখার জন্য। অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ অনেক ভালো কাজ করছে এবং আমার বিশ্বাস আমরা বিশ্বকে বদলে দেবো"। টিভি স্ক্রিন ছাড়াও তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিয়ে কাজ করা এই অভিনেতা আরো জানান, "অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ সম্পর্কে তাদের কাজই তাদের হয়ে কথা বলছে। ধন্যবাদ অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ এর সবার প্রতি। আমি বলতে পারি যে বিশ্বের একটি দারুন জায়গা এবং সব মেধাবী লোক এখানে যুক্ত রয়েছেন"।
উল্লেখ্য, দুই বাংলাদেশীর হাত ধরে গড়ে ওঠা এই বৈশ্বিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। জাতিসংঘের এসডিজি নিয়ে বিশ্বের ২৩টি দেশে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ২৬ বছর বয়সী শমী এবং তার সহ–প্রতিষ্ঠাতা রিজভী উঠে এসেছেন মার্কিন প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্সবের ৩০ বছরের কম বয়সী এশীয় অঞ্চলের ৩০০ তরুণের তালিকায়ও! এছাড়াও পূর্বে প্রতিষ্ঠাতা শমী পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানার ভাই লর্ড স্পেন্সার থেকে। কেনসিংটন প্যালেসে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। ২০২০ সালে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন পাশাপাশি আছে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা থেকেও স্বীকৃতি পাওয়ার মতোও ঘটনা। অন্যদিকে সহ–প্রতিষ্ঠাতা রিজভী আরেফিন সম্প্রতি পুরস্কৃত হয়েছেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডে, এছাড়া টার্গেট জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি কোঅর্ডিনেটর হিসাবে যোগদান করেছেন জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্টে।