এসো হে বৈশাখ!
'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো….. মুছে যাক গ্লানি,ঘুচে যাক জরা।অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা।' বঙ্গাব্দ ১৪২৮, নতুন ভোরে নতুন আলো নিয়ে এসেছে নতুন বছর।
করোনা মহামারীর মধ্যেই বাঙালী জীবনে আরো একবার এলো বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। আনন্দঘন পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার দিন। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।
কিন্তু এবার কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় এবং করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় নববর্ষের উৎসব পালনে রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আজ থেকেই শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম লকডাউন আরও দুই দিন বর্ধিত করে ১৪ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত চলমান ছিল।
একাত্তরের পর গত বছর নববর্ষের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান হয়নি। এ বছরও থাকছে না ছায়ানটের নতুন বছরের বন্দনা। বন্ধ থাকছে পহেলা বৈশাখের মঙ্গলবার শোভাযাত্রাও। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়েছিলো।
পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ বাঙালিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সকলের প্রতি আহ্বান রইলো ঘরে থেকে নিজেদের মধ্যে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার। করোনা পরিস্থিতিকে মারাত্মক না করে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলার। শুভ হোক নববর্ষ, শুচি হোক বিশ্ব।