Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে ব্ল্যাকমেইলিং: যা বলছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা

দেশে নারীর সঙ্গে বহুমুখী অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে কিশোরী-তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে ধর্ষণ করার ঘটনা সবচেয়ে ভয়াবহ। শুধু ধর্ষণ করেই অপরাধী চক্র থেমে থাকে না, ধর্ষণ ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ও করে। এছাড়া দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনা তো ঘটতেই থাকে। এই ধরনের অপরাধের জন্য অভিভাবকদের উদাসীনতা, মোবাইলফোন আসক্তি, ফেসবুক আসক্তিকে দায়ী করলেন দেশের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

রংপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘বর্তমান সময়টা আমাদের একধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। সময় একদিকে আমাদের বলছে, ‘তুমি এগিয়ে যাও’ আরেকদিকে বলছে ‘যতদূর যাবে যাও আমি কিন্তু তোমাকে টেনে ধরছি।’ অর্থাৎ সভ্যতার উৎকর্ষ যেমনি আমাদের এগিয়ে দিচ্ছে, তেমনি পিছিয়েও দিচ্ছে বহু গুণ। দিন দিন আমরা গ্যাজেট নির্ভর হয়ে পড়ছি। তাই গ্যাজেটকে ঘিরে মানুষের অপরাধপ্রবণতাও বাড়ছে। ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ আসক্তিতে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক শিথিলও করে দিচ্ছে। আর এই সুযোগে ক্রাইমও বাড়ছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে, একশ্রেণির বখাটে কিশোরী-তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলছে। পরবর্তী সময়ে কৌশলে তাদের ধর্ষণ করছে বা ব্ল্যাকমেইলিং করছে।’

সাদিয়া সুলতানা

এই বিচারক আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় এই ধরনের অপরাধের নেপথ্যে যেসব কারণ রয়েছে, সেসবের মধ্যে হলো, পরিবারের ছোট-বড় প্রায় সব সদস্যের মোবাইল আসক্তি, মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতা, একক পরিবারপ্রথার জনপ্রিয়তা আর প্যারেন্টিংয়ের দুর্বলতা। ধর্ষণ ও অনলাইন ঘিরে ক্রমবর্ধমান অপরাধপ্রবণতার জন্য দেশে নানা ধরনের আইন রয়েছে। ইদানিং সাইবার ক্রাইম রোধ করতে সাইবার ট্রাইব্যুনালও কাজ করছে। তবে, শুধু আইন থাকলেই হবে না সাহস করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বাবা-মাকে তাদের সন্তানদের প্রতিটা পদক্ষেপের ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। কেবল অহেতুক খবরদারি নয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে বাবা-মা চাইলেই ছেলে-মেয়েদের এই ধরনের অপরাধ সম্পর্কে সতর্ক করে তুলতে পারে।’

কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী জজ মাইমানাহ আক্তার মনি বলেন, ‘এখন সময়টা তথ্য-প্রযুক্তির। সেই হিসেবে তথ্য-প্রযুক্তিকে এড়িয়ে চলা দায়। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে সুবিধা-অসুবিধা; দুই-ই রয়েছে। ধর্ষণকে রুখতে হলে প্রথমত নৈতিক শিক্ষা জরুরি। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা দিতে হবে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে। যদি এই শিক্ষা না দেওয়া যায় তবে কোনোভাবেই তথ্য-প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির কতটা আমাদের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা গ্রহণ করবে তা বোঝাতে হবে। বখাটেরা তরুণীদের ন্যুড ছবি-ভিডিও প্রকাশ, এডিটিং করে মুখচ্ছবি বসিয়ে দিয়ে নানারকমভাবে ব্লাকমেইল করছে। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ আলাদা করে বলার কারণ নেই। উভয়ই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হচ্ছে। তবে পরিসংখ্যান বলে নারীরাই এ ধরনের ভুক্তভোগী হয় বেশি। এর কারণ মেয়েরা সামাজিকভাবে খুব বেশি ঘরোয়া পরিবেশে বেড়ে ওঠে। ভালো-মন্দের বিভেদ, কতটুকু কী পরিণাম হতে পারে, তারা সঠিকটা বুঝে উঠতে পারে না বেশিরভাগ সময়। ফলে নারীরা শিকারে পরিণত হয়।’

মাইমানাহ আক্তার মনি

এই সহকারী জজ আরও বলেন, ‘সম্পর্ক জড়ালে কতটা এগুনো উচিত, সেটাও নারীদের সচেতনার অভাবে বুঝে উঠতে পারে না। আর বখাটেরা নারীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে নানাভাবে হেনস্তা করার সুযোগ নেয়। সবক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ জরুরি। ডিজিটাল মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার আরও কিছু কারণ পর্নোগ্রাফি, মাদক। যেগুলো আমাদের তরুণদের বখাটে করে তুলছে। প্রশাসন, আইন-আদালত, পরিবার, সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করতে হবে। স্কুলগুলোতে নৈতিক শিক্ষা জোরদার করতে হবে। জীবনাচরণে বেড়ে ওঠার সঠিক শিক্ষা দিতে হবে সন্তানদের। পরিবারের সাপোর্ট নারীদের জন্য জরুরি। কেউ যদি এ ধরনের সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে তখন চুপ না থেকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ধর্ষণকে মানসিক বিকৃতির ফল বলে অভিহিত করলেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী দিলরুবা শরমিন। তিনি বলেন, ‘মানুষের এই বিকৃতি নানা কারণে আসে। লোভ, হতাশা, সমাজের নানান ধরনের অত্যাচার-অনাচার-অবিচার-হিংসা-বিদ্বেষ-ক্রোধ থেকে আসে। যে রিপুগুলো আমাদের ধ্বংস করে সেই ধ্বংসাত্মক রিপুগুলো থেকেই ধর্ষণ হয়। যেমন-শ্রেণিভেদ। এর কারণেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দারিদ্র্য শ্রেণির মানুষেরা একটা হিংসাত্মক-আক্রমণাত্মক-আক্রোশ ধনী শ্রেণির মানুষদের ওপর পোষণ করে। এটার বহিঃপ্রকাশ তারা ধর্ষণ দিয়ে ঘটায়। যেমন – লতিফুর রহমান সাহেব ট্রান্সকমের মালিক ওনার মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানকে ওদের বাড়ির কাজের লোক হত্যা করলো। এই শ্রেণিভেদ, বর্ণভেদ, ধর্মভেদ, ছোট-বড় ভেদ বিভিন্ন বিষয়গুলো মানুষের মনের মধ্যে নানারকম ক্রিয়া-বিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যার সবই নেতিবাচক। এই চারিত্রিক কুমনোভাবসম্পন্ন মানুষগুলোর তার থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতি আক্রোশ দেখা যায়। কুদর্শন, অভাবগ্রস্ত, লেখাপড়ায় কম শিক্ষিত, আইন- কানুন সম্পর্কে অজ্ঞ, জীবনযাপনে বস্তিবাসী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রবণতাগুলো বেশি দেখা যায়। রাস্তায়ও এর প্রভাব বোঝা যায়। রিকশাওয়ালা, হুন্ডাওয়ালার গাড়িওয়ালার প্রতি আক্রোশ। এ সব ছোট-বড় ভেদ, ধর্মভেদ, রাজনীতি ভেদ, শারীরিক গঠন কাঠামো ভেদ, শিক্ষা ভেদ এসবই নেতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করে সমাজে।’

দিলরুবা শরমিন

এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আজকাল মিডিয়ার যুগে ধর্ষণের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হয়েছে নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। ফেক আইডি খুলে নারী পুরুষকে বা পুরুষ নারীর সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব স্থাপন করে বিশ্বাভাজন হচ্ছে। একসময় তার সুযোগ নিয়ে একাকীত্বের পরিত্রাণ ঘটাতে ভাবের আদান-প্রদান করতে শুরু করে। এখন যান্ত্রিক যুগে পরিবার-সমাজ থেকে প্রায় মানুষই বিচ্ছিন্ন। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হয়ে উঠেছে সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম। এই মাধ্যমে নারী-পুরুষ পরিচিত হয়, সময় কাটায়। একসময় সেক্সচুয়াল রিলেশনশিপেও জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ কেউই এমন ট্রাপ থেকে বাদ পড়ছে না। এভাবে সময় গড়িয়ে তারা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও, ছবি ধারণও করে। আবার অনেক সময় লুকিয়ে বা জোর করেও এসব ঘটনা ঘটে।’

দিলরুবা শরমিন বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে মনোমালিন্য-দ্বন্দ্বের উপস্থিতি বা ব্যক্তি স্বার্থে একজন আরেকজনকে নানারকম ব্ল্যাকমেইলিং, হুমকি-ধমকি, টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। কেউ আবার একবার ভিডিও বা ছবি হাতিয়ে নিয়ে বারবার ধর্ষণও করছে। এমনকি সংঘবদ্ধভাবেও ধর্ষণ করা হয় ভুক্তভোগী নারীকে। এই ঘটনা শুধু যে একজন পুরুষই করছে এমন না। এদের নানারকম চক্রও আছে। কখনো কখনো একজন নারীও অন্য নারীকে বিভিন্নভাবে ট্রাপে ফেলে ব্যবসায়িক মুনাফা অর্জন করে। বিভিন্ন চক্র এসব ঘটনা ঘটিয়ে টাকা কামায় করে চলেছে। পারিবারিক শিক্ষা, মূল্যবোধের অভাব, শ্রেণিভেদের কারণে এসব ঘটনা ঘটেই চলেছে।’ তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন বাস্তবায়ন করতে হবে। পুলিশের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। কোনো রকম আপস করা যাবে না। ভুক্তভোগী নারীকে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, আইনের সবাইকে সমান সাপোর্ট দিতে হবে। ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ নারীকে মুখ খুলতেই হবে। একদিনে যদিও ধর্ষণের ঘটনা কমিয়ে আনা যাবে না। তবে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নারীকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।’

রেহানা বীথি

ইন্টারনেটের যুগের সুফলের পাশাপাশি দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী রেহানা বীথি। তিনি বলেন, ‘কোথায় কী হচ্ছে, তা যেমন আমরা মুহূর্তেই জানতে পারছি, তেমনই মুহূর্তেই উন্মুক্ত হচ্ছে এমন কিছু, যা অপ্রীতিকর। তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে সদ্যই উন্নয়নশীলতার পথে সামিল হওয়া আমাদের দেশের জনগণের শিক্ষা, জীবনযাত্রার মান এবং মেধা-মননের উৎকর্ষতা আশঙ্কাজনক বললে অত্যুক্তি হবে না। এই যখন অবস্থা, তখন আমাদের তরুণ প্রজন্মের হাতে অবাধ ইন্টারনেট। তারা হারাচ্ছে নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমন কিছু করে ফেলছে, যা সোজা কথায় আইনের লঙ্ঘন। এসব যারা করছে, এককথায় সেসব তরুণদের আমরা বখাটে নামে অভিহিত করছি।’

রেহানা বীথি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সমাজ মোটেও নারীবান্ধব নয়, সেহেতু এই বখাটেদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নানা কায়দায় নারীদের প্রতি সহিংস আচরণ। যত দিন যাচ্ছে সহিংসতার মাত্রা ও কৌশল যেন আরও অভিনব হচ্ছে। হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। যার মাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গোপনে বা প্রকাশ্যে ধারণ করা ভিডিও অথবা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে করা হচ্ছে ব্ল্যাকমেইলিং, সংঘটিত হচ্ছে ধর্ষণসহ অনেক ভয়াবহ অপরাধ।’

শেখ কানিজ ফাতেমা

ম্যারেজ, ডিভোর্স অ্যান্ড ফ্যামিলি মেটার কাউন্সিলর ও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘বর্তমানে ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে একশ্রেণির বখাটে কিশোরী-তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে, এটা সচারাচর খুব দেখা যাচ্ছে। ভালোভাবে বিপরীত পক্ষকে না জেনেই খুব সহজে সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলছে কিশোর -তরুণীরা। প্রযুক্তি আমাদের অঢেল দিয়েছে সেই সঙ্গে কেড়ে নিয়েছে অনেককিছুই। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্ধুত্ব; তারপর ডেটের পর কৌশলে শারীরিক সম্পর্ক। এভাবে প্রতারিত হচ্ছে কত শত কিশোরী-তরুণীকে। বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আপত্তিকর ছবিগুলো,ভিডিওগুলো নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে অপরাধীরা। অনেকে আবার ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করছে। এক্ষেত্রে ভিকটিম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিনের পর দিন। এসব ঘটনা অনেক সময় তাদের সুইসাইড পর্যন্ত করতে বাধ্য করছে।’

শেখ কানিজ ফাতেমা আরও বলেন, ‘এগুলো আইনের দৃষ্টিতে সুনির্দিষ্ট অপরাধ। এই অপরাধগুলোর কিছু সুনির্দিষ্ট কারণও আছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অতিমাত্রায় আসক্তি,সামাজিক অবক্ষয়,পারিবারিক দূরত্ব বৃদ্ধি, প্রশাসনিক অসহযোগিতা,বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা ইত্যাদি এসব অপরাধের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছে।’ শাস্তির প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, ‘ওপরের অপরাধগুলোর শাস্তি বাংলাদেশে বলবৎ বিভিন্ন আইনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তিনি আরও বলেন, ‘দিন দিন আমরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হচ্ছি, এটা যেমন সত্য; তেমন এর বিরূপ প্রতিক্রিয়াও আমাদের বিভিন্নভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত। এ দায় আমাদের সামগ্রিক দায়। নিজ নিজ জায়গা থেকে সবারই এ ধ্বংস রোধে এগিয়ে আসা আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।’

অনন্যা/এআই

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ