Skip to content

২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হ‌ুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যে নারী

হ‌ুমায়ূন আহমেদেরআহমেদ এক কিংবদন্তির নাম। প্রতিটি বইপোকা থেকে শুরু যার খুব একটা পড়ার অভ্যাস নেই তার মনে দাগ কেটেছে এই কথাসাহিত্যিকের গল্পের জাদু। ছোট থেকে বড় সবারই পছন্দের ব্যক্তিত্ব। তার রচিত গল্প- উপন্যাস পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে শ্রেষ্ঠ লেখকদের একজন হিসেবে দীর্ঘ ৪০ বছর তার লেখনীতে আকৃষ্ট করে রেখেছিলেন হাজারো পাঠকগণকে। তার কলমে ছিল এক ধরনের যাদু যাতেই ছুঁয়ে দিতেন তাই কেমন হৃদয়ে তীরের মতো বিঁধে যেতো।

শুধু যে গল্প বা উপন্যাস তাই নয়, তিনি একাধারে লিখে গেছেন উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, ও গানেও রেখেছেন অসামান্য কৃতিত্ব। সিনেমা জগতেও রেখে গেছেন নিজের পদচিহ্ন। হ‌ুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসে নারী চরিত্রগুলো ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে। সাধারণ একটি চরিত্রকে করে তুলেছেন অসাধারণ।

ঠিক যেমন রুপা উপন্যাসে লিখেছেন- এখনকার রুপা জোসনা রাতে নীল শাড়ি পরে হিমুর জন্য অপেক্ষা করে না। এ রুপাও রূপবতী এবং বুদ্ধিমতী। এ রুপাও রূপবতী অর্থাৎ হ‌ুমায়ূন আহমেদের অমর সৃষ্টি হিমুর নায়িকা রুপাকেও তিনি রূপবতী হিসেবে উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। প্রায় উপন্যাসে নায়িকাদের তিনি রূপের বর্ণনা করতে গিয়ে সুন্দরীর উপমা না দিয়ে বরং মায়াবতী ও রূপবতী বলে আখ্যায়িত করেছেন।

আগুনের পরশমণি-র রাত্রি চরিত্রের কথা কি মনে আছে? মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ঘটনা নিয়ে লেখা উপন্যাসটি প্রচুর পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানে ঘরবন্দি থেকেও কীভাবে স্বাধীন আকাশের স্বপ্ন দেখা যায়, তা নায়িকা চরিত্রের চোখে এঁকে দিয়েছেন লেখক।

হ‌ুমায়ূন আহমেদের কুসুম চরিত্রটিও বেশ জনপ্রিয়। এটি শ্রাবণ মেঘের দিন এর কুসুম চরিত্রটির কথা বলছি। গ্রামের সহজ-সরল মেয়েটি সাজতে ভালোবাসে। সাজ বলতে সেই চোখে কাজল, দুই বেণি, আর কোটা শাড়ি। মূলত নায়িকা চরিত্রগুলোর সরলতাই তাদের অনন্য করে তুলেছে।

ভালোবাসার জন্য নিজের জীবনকে বিসর্জন দেয়া এক অদ্ভুত নারী চরিত্র হলো আমার আছে জল এর দিলশাদ কিংবা দিলু। শেষটায় এসে কাঁদিয়েছেও সবাইকে নারী চরিত্রটি। নারী না বলে ঠিক কিশোরী থেকে যুবতীর মাঝামাঝি কোনো একটা বয়স বললে বেশি মানানসই হবে। তুমুল প্রেম আর অভিমান ভরা হৃদয় নিয়ে চুপিচুপি হারিয়ে যাওয়া দিলুকে এখনও মনে রেখেছে মানুষ।

হ‌ুমায়ূন আহমেদের নিজের সাহিত্যে নারীদের অতুলনীয় করে রেখেছেন। তার লেখনীতে নারীদের রূপের বর্ণনা করতে গিয়ে সুন্দরীর উপমা দেননি, বরং আখ্যায়িত করেছেন মায়াবতী ও রূপবতী বলে। শুধু তাই নয় বিদেশি নারীর ক্ষেত্রেও তিনি রূপবতী উপমা টেনেছেন।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ