Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলিজা বিনতে এলাহি: এক দুর্বার নারীর গল্প

একজন অনন্যা এলিজা বিনতে এলাহী। ঐতিহ্যের সন্ধানে দেশের ও দেশের বাহিরের নানা পথপ্রান্ত ঘুরে বেড়ানো এলিজা নিজের পরিচয় দেন ‘ঐতিহ্য পর্যটক’ হিসেবে।

 

চেয়েছে সব সময় জীবনকে উপভোগ করতে। তিনি জীবনকে প্রকৃতির এক ম‚ল্যবান উপহার মনে করেন। সেখান থেকেই উপভোগ করার চিন্তা মাথায় আসে। আর তার কাছে উপভোগের মাধ্যম ভ্রমণ।

 

নারী হয়ে ভ্রমণে বের হওয়ায় কিছু বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। শুরুতে পরিবার ও সমাজ থেকে বাঁধা আসলেও ভ্রমণের মূল বিষয়টা বুঝাতে পেরেছেন বলেই বাঁধা অতিক্রম করাটা সহজ হয়েছে বলে মনে করেন এলিজা।

 

বিশ্ব পরিব্রাজক এবং শিক্ষকও। চষে বেড়িয়েছেন পুরো বাংলাদেশ।

 

১৯৯৯ সালে নেপাল ট্যুরের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশ ভ্রমণ করে এসেছেন। ছোট থেকেই ভ্রমণপিপাসু এলিজা বলধা গার্ডেন থেকে ২০১৬ সালের ১৭ মে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশে হেরিটেজ ভ্রমণ। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট শেষ হয় ৬৪ জেলার হেরিটেজ জার্নি। এখন দ্বিতীয় ধাপে আবারো পুরো দেশ ভ্রমণে পথে পথে ঘুরছে এলিজা।

 

 স্থানগুলোতে ভ্রমণ করেন। এছাড়াও কাজ করছেন ঐতিহ্য ভ্রমণ নিয়ে। তিনি বাংলাদেশকে একটি বিশ্বপর্যটনের অনন্য স্থানে দেখতে চান।

 

না থাকার পরও নিজের ইচ্ছার তাগিদে প্রফেসরদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে শখের বিষয়কে পড়াশুনার সাথে সম্পৃক্ত করেন।

 

প্রতিটি নতুন শহর এক একটি নতুন প্রেমের মত সুন্দর। তিনি যেকোনো নতুন শহরের প্রেমে পরে যান। শুধু যে বিদেশের শহর গুলোকেই এমন মনে হয় তা নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা শহরও একই অনুভুতি দেয় তাকে।

 

জীবনকে যাপন না করে উদযাপন করতে হবে।

 

এআইইউবি থেকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও নেদারল্যান্ডসের হেগ ইউনিভার্সিটি অব এপ্লাইড সায়েন্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে হেরিটেজ ট্যুরিজমের গুরুত্ব’ বিষয়ে গবেষণা করেন। ২০১৮ সালে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে আসেন।

 

তরুণদেরকে এসব ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত স্থানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে দেশে পর্যটন অর্থনৈতিক খাতেও এক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।

 

সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ হবে। আর এভাবে সেখানকার অর্থনীতির চাকা সচল হবে।

 

তেমন একটি দিন বা দিবস হোক সেটাও এলিজার জোর দাবি। পুরো দেশে যখন জাতীয়ভাবে হেরিটেজ ট্যুরিজম দিবস পালিত হবে তখন সর্বস্তরের মানুষ এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে বলেই মনে করে এই ভ্রমণকন্যা। বাংলাদেশকে যদি হেরিটেজ ট্যুরিজমের আওতায় আনা যায় তাহলে দেশের অর্থনীতি অনেকটা এগিয়ে যাবে বলেও মনে করেন এলিজা বিনতে এলাহী। এছাড়াও এলিজার ইচ্ছা দেশের প্রতিটা জেলায় একটি করে হেরিটেজ ট্যুরিজম দল গঠন করার।

 

দেশ সম্পর্কে জানা যাবে।

 

বিদেশে ঘুরতে গেলে প্রথমে চোখে পরে তাদের আইন-কানুন। কারণ তাদের ট্যুরিজদের জন্য সাহায্য কেন্দ্র আছে। যেখান থেকে ট্যুরিজরা সব রকমের সাহায্য নিতে পারে। আর তাদের দেশে ট্যুরিজম গাইড আছে যাতে সহজে ট্যুরিজদের পাশে থাকা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন কিছুই নেই বলে মনে করেন এলিজা।

 

এলিজা।

 

সেই অধিকার শতভাগ এখনো নারী পায়নি। সমধিকারের জন্য নারী দিবসের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন এলিজা।

 

নারীর সবচেয়ে বড় সমস্যা অর্থনৈতিক। এলিজা মনে করেন নারীর অর্থনৈতিক মুক্তিই হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ