প্রেমময় দিনরাত্রি

পাখিডাকা ভোরবেলাতে মনটা ভীষণ খুশি,
আমার হৃদয়-মন্দিরে আজ তোমায় শুধু পুষি।
সাধের জীবন সুখের ভুবন সবই তোমায় দেবো,
বিনিময়ে একটু প্রেমের সোহাগ শুধু নেবো।
ঝাউবাগানের মাথার উপর ডাকছে ঘুঘু পাখি,
মনখারাপের দুপুরবেলায় তোমায় কাছে ডাকি।
ইচ্ছে-বিকেল পার হয়ে যেই সন্ধ্যা আসে নামি,
হেথায়-হোথায় ঘুরে এসে তোমার কাছেই থামি।
আনন্দ আর হাসির গানের পরশ দিয়ে তুমি,
আলতো ছোঁয়ায় দোলাও হৃদয় চিবুকে দাও চুমি।
নীল-জোছনায় স্নান করতে বড়োই ভালো লাগে,
বৃষ্টি ভেজা চাঁদনী ছুঁতে ইচ্ছে মনে জাগে।
মনখারাপের প্রহরগুলোও দিও যতন করি,
সোনা-রূপার কাটি ছুঁইয়ে করবো আমি দূরই।
তোমায় পেতে তোমার ছুঁতে চাই অধিকার আজি,
না-হারানোর ভালোবাসার সন্ধি করতে রাজি।
নীলবেদনার রঙ কখনো না যেন আসে কাছে,
এই কামনাই করছি ফুটুক প্রেমের গোলাপ গাছে।
তোমার প্রেমের গন্ধে আকুল আমার প্রেমের মাঝি,
এসো দু’জন আজকে শুধুই বধূ ও বর সাজি।
রাত্রি-দুপুর গল্প-গানেই হয়ে যাবে ভোর,
যে যাই বলুক পাগল-প্রেমিক খুলবো নাতো দোর।
সকাল-দুপুর বিকেল-সাঁঝে একই ছাদের নিচে,
রাত্রি ফিরে আসবে আবার সন্ধ্যাবেলার পিছে।
এমনি করেই কেটে যাবে বাঁচবো যতদিন,
একজীবনে শোধ হবে না তোমার প্রেমের ঋণ।
অনন্যা/এসএএস